টিকা নিতে আগ্রহী বয়স্কদের ভিড় বাড়ছে
টিকা নিতে বয়স্কদের ভিড়
টিকাদান কর্মসূচির চতুর্থদিন বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে ১,৫৮,৪৫১ জন টিকা নিয়েছেন।আজ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৩,৩৭,৭৬৯ জন।
বুধবার রাতে এমআইএস অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯১ জন ও নারী ৪৬ হাজার ৭৬০ জন।
বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৪০ হাজার ৯০৭ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ হাজার ৫৪৯ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ হাজার ৪৫৮ জন।
রাজশাহী বিভাগে ১৭ হাজার ৯৭১ জন,রংপুর বিভাগে ১৪ হাজার ২২৪ জন। খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ১১৫ জন।
বরিশাল বিভাগে ৬ হাজার ১৪৭ জন। সিলেট বিভাগে ১৭ হাজার ৮০ জন টিকা নিয়েছেন।
বয়স্কদের ভিড় বাড়ছে
রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল ১০ ফেব্রুয়ারী তাঁর মাকে নিয়ে এসেছিলেন ওই হাসপাতালের টিকাদানকেন্দ্রে।
মা আসমা খাতুনের বয়স ৭০ বছর। তাঁর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকায় টিকা দিতে নিয়ে এসেছি।’
৩ ফেব্রুয়ারি সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করার পর আজ টিকা দেওয়ার তারিখ পান তিনি। মোস্তফা কামাল নিজে টিকা নিয়েছেন ৮ ফেব্রুয়ারি।
হুইলচেয়ারে করে টিকা নিতে আসেন সাবেক সাংসদ (সিলেট-৬ আসন) সৈয়দ মকবুল হোসেন।
দুবারের এই সাংসদ অ্যাপে নিবন্ধন করার পর আজ টিকা দেওয়ার তারিখ পেয়েছেন। তাই টিকা নিতে এসেছেন।
একই সেন্টারে টিকা নিতে আসেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবদুর রহমান সরকার। তিনি রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসিন্দা,
উনার ২০০৮ সালে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এখন তিনি টিকা নিতে এসেছেন।
অনেকই মা–বাবা বা পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের নিয়ে এসেছেন টিকাদানকেন্দ্রে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই পাঁচটি টিকাদানকেন্দ্রে ৩ হাজার ৭৫৪ জন টিকা নিয়েছেন।
বিএসএমএমইউর অধ্যাপক সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ বলেন, ‘আরও বেশিসংখ্যক মানুষ টিকা নিতে আসবে। সেটা মাথায় রেখে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।’
গত বছরের ঈদুল ফিতরের সময় হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল আবদুস সালাম বিশ্বাসের (৫৬)। এখন চলাফেরা করতে হয় লাঠিতে ভর করে।
মহাখালী বাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুস সালাম ও তাঁর স্ত্রী মজিউন্নেসা বেগম (৫০) টিকা নিতে আসেন ।তাঁর ছেলে মাসুদ রায়হান বলেন, ‘চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই বাবাকে নিয়ে এসেছি।’
বিএসএমএমইউর উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘এ ধরনের অসুস্থতায় টিকা নিতে কোনো সমস্যা নেই। আমি নিজেও ৭ ফেব্রুয়ারি শুরুর দিন টিকা নিয়েছি।’
বাড্ডার বাসিন্দা নাবিল আমির (৪০) মা ও তাঁর শাশুড়িকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টিকা দিতে এসেছিলেন।
নিবন্ধন ফরম দেখানোর পর ১০টার দিকে তাঁরা টিকা দেওয়ার সারিতে দাঁড়ান।
একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, সেখানে অ্যাপের মাধ্যমে ৪৭৪ জন নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২৯ জনের নাম টিকা নেওয়ার তালিকায় উঠেছে।
ফিরতি বার্তা না পেয়েও টিকা নিতে এসেছেন
গত সোমবার টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে ফরম পূরণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ঈশানী চক্রবর্তী। তিনি উত্তর আমেরিকা যাচ্ছেন।
কিন্তু এসএমএস পাননি। তাই অপেক্ষা না করে টিকা নিতে আসেন বিএসএমএমইউ কনভেনশন সেন্টারে।
মানবেন্দ্র চক্রবর্তী (৬৬) ও রীতা চক্রবর্তীও (৫২) ফিরতি বার্তা না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে চলে আসেন।